বিভিন্ন রোগব্যধিতে মাশরুমের ব্যবহার সুবিদিত। বাত, ব্যথা, জন্ডিস, কৃমি, রক্ত বন্ধ হওয়ার কাজে মাশরুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মাইসেলিয়াম পরিপূর্ণ ব্যাগ এবার সামান্য আলোয় ঘরের মধ্যে রেখে দিতে হবে। মনে রাখা দরকার আলো যেন তীব্র না হয়। আর্দ্রতা বুঝে নিয়ে, প্যাকেটে মাঝে মাঝে জলের ছিটে দিতে হবে। লক্ষ্যণীয় বিষয়, প্লাস্টিকের ছিদ্রগুলি দিয়ে মাশরুমের পিনহেডগুলো কয়েকদিন পরেই বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। এরপর ২০ থেকে ২৫ দিনের মাথাতেই মাশরুম খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে। অতএব এবার মাশরুমগুলিকে বাজারজাত করাই যায়। লাভের বিষয় হল একটা প্যাকেট থেকেই তিনবার মাশরুম ফলন পাওয়া যায়, যা অবশ্যই একটা অতিরিক্ত পাওনা।
মাশরুম রক্তচাপ কমায় এবং টিউমার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে।
ব্যাগগুলোতে নিয়মিত পানি স্প্রে করতে হবে।
ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় যেমন গোড়ান, কোর্ট কাচারি এলাকা, রামপুরা, বনশ্রী, সাভার, টঙ্গীতে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করছে।
খেয়াল রাখবেন, অন্ধকার হলেও জায়গাটিতে যেন হাওয়া চলাচল করে। জায়গাটি যাতে পরিষ্কার ও পোকা-মাকড়মুক্ত থাকে, সে খেয়ালও রাখতে হবে। মাছি কিন্তু মাশরুম চাষে ভয়ানক ক্ষতি করে।
বাড়িতে ব্যবহারের জন্য মাশরুম চাষের প্রক্রিয়াটি কঠিন নয় এবং খুব কম জায়গা প্রয়োজন। বাড়িতে সফল মাশরুম চাষের চাবিকাঠি হল সঠিক ধরনের মাশরুম নির্বাচন করা, প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রাপ্ত করা এবং নির্দেশাবলী সঠিকভাবে অনুসরণ করা।
এবার প্যাকেটটি সাত থেকে দশ দিনের জন্য কোনও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন।
যদি মাশরুম কোনো কারণে বিক্রি করতে না পারেন সেক্ষেত্রে মাশরুম শুকিয়ে রেখে সংরক্ষন করতে পারবেন।মাশরুম শুকিয়ে রাখা কে ড্রাই মাশরুম বলে। পরবর্তীতে ড্রাই মাশরুম বাজারে এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার দুই শত টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
সফল চাষ নিশ্চিত করতে বাড়ির পরিবেশে সঠিক পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে এবং বিশেষ কিট, স্পোর সিরিঞ্জ এবং প্রেসার কুকার ব্যবহার মাশরুম চাষে জড়িত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক জ্ঞান এবং সরঞ্জাম সহ, মাশরুম চাষ যে কারো জন্য একটি ফলপ্রসূ এবং টেকসই কার্যকলাপ হতে পারে।
এরপরে প্যাকেটে দশ থেকে বারোটা ছোট ছোট ছিদ্র করে তুলা দিয়ে ছিদ্রের মুখ বন্ধ করে দিন এতে করে স্বাভাবিক বাতাস চলাচল বজায় থাকবে এবং এর ভিতর কোনো ধুলাবালিও ঢুকতে পারবে না।
পলিথিন ডাকা থাকলে ৩/৪ বার ১০-১৫ মি. সময় ডাকনা সরিয়ে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
২/৩ দিন পর ব্যাগের কাটা অংশ দিয়ে সাদা পিন সদৃশ অংশ দেখা যায়। আরো ২/৩ দিন পর মাশরুম বড় হলে সংগ্রহ করতে হবে।
প্রকৃতিতে মাশরুমের কয়েক হাজার জাত রয়েছে যার মধ্যে ৮-১০টি জাতের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আদ্রতা মাশরুম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বাংলাদেশের চাষপযোগী মাশরুমের জাতগুলো হলো-
মাশরুম ক্লোরোফিলবিহীন ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ এবং নতুন ধরনের সবজি যা সম্পূর্ণ get more info হালাল, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চ খাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এটি একটি ঔষধিগুণ সম্পূর্ণ খাবার। এর মধ্যে রয়েছে ২৫-৩০% প্রোটিন যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে এটি বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটির রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার যেমন:-